আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের তুলনায় GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অপেক্ষাকৃত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা গেছে, যা কিছুটা বিস্ময়কর। একই সময়ে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য খুব বেশি ঝামেলা ছাড়াই ক্রিটিক্যাল লাইনের দিকে ফিরে আসে, এবং একই কারণে ইউরোপিয়ান মুদ্রার মূল্যও পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হয়। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে যা কিছু ঘটেছে, তা পুনরাবৃত্তি করার কোনো অর্থ নেই — শুধু এটুকু বলাই যথেষ্ট যে, ট্রেডাররা আবারও ট্রাম্পের ওপর, আদালতের ওপর, কিংবা ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মার্কিন অর্থনীতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ওপর আস্থা রাখেনি, এমনকি বাণিজ্যযুদ্ধ সমাপ্তির প্রতিশ্রুতির ওপরও নয়। এর ফলে আমরা আরেক দফা ডলারের দরপতন হতে দেখেছি, এবং ট্রেন্ড চ্যানেল ব্রেকআউট করে মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার মতো টেকনিক্যাল ইঙ্গিতগুলো ট্রেডারদের বিশেষ ব্যাখ্যায় এবং মৌলিক প্রেক্ষাপটে কার্যত নাকচ হয়ে গেছে।
তবে, আগের নিবন্ধগুলোতে যেমনটি বলা হয়েছিল, যদি এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসোলিডেট করে তবুও বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার উপর আস্থা রাখা খুবই কঠিন হবে। গতকাল এই পেয়ারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের কাছ থেকে রিবাউন্ড করে, যা ৪-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। সুতরাং, আমাদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে এবং ডলারের ক্ষেত্রে এমনকি ছোটখাট ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনেরও খুব কম সম্ভাবনা আছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে পাউন্ডের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো ইউরোর মতো কার্যকর না হলেও লাভের সুযোগ ছিল। ইউরোপীয় সেশনে 1.3439 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত প্রথম সেল সিগন্যালটি ভুল ছিল, কারণ মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকে ২০ পিপস পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারেনি। ট্রেডটি সামান্য লোকসানের সাথে ক্লোজ হয়। পরে, একই লেভেলে একটি সঠিক বাই সিগন্যাল গঠিত হয় এবং মার্কিন সেশনে মূল্য ক্রিটিক্যাল লাইন অতিক্রম করে। সেই অনুযায়ী, লং পজিশন দীর্ঘ সময় ধরে হোল্ড করে রাখা যেত এবং সন্ধ্যায় ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা যেত। দ্বিতীয় ট্রেড থেকে প্রায় ৪০–৫০ পিপস লাভ করা সম্ভব ছিল।
ব্রিটিশ পাউন্ডের COT রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে গত কয়েক বছরে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মনোভাব বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন — যা কমার্শিয়াল ও নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশন নির্দেশ করে — প্রায়ই একে অপরকে অতিক্রম করেছে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি অবস্থান করেছে। বর্তমানে সেগুলো আবার কাছাকাছি রয়েছে, যা লং ও শর্ট পজিশনের প্রায় সমতা নির্দেশ করে। তবে গত দেড় বছরে নিট পজিশনের সংখ্যায় ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে ডলার এখনো দুর্বল হতে থাকায় ব্রিটিশ পাউন্ডের প্রতি মার্কেট মেকারদের চাহিদার তেমন গুরুত্ব নেই। যদি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ধারাবাহিকতা আবার শুরু হয়, তাহলে ডলার শক্তিশালী হওয়ার একটি সুযোগ পেতে পারে — কিন্তু সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 1,400 লং কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,800 শর্ট কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে, যার ফলে নিট লং পজিশনের সংখ্যা 3,200 কমেছে।
সম্প্রতি পাউন্ডের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এর একমাত্র কারণ হচ্ছে ট্রাম্পের গৃহীত নীতি। একবার এই প্রভাব নিরপেক্ষ হয়ে গেলে, ডলারের দর আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। নিজস্ব কোনো আভ্যন্তরীণ চালিকা শক্তির কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও, এই মুহূর্তে "ট্রাম্প ফ্যাক্টর" ট্রেডারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যথেষ্ট।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড চ্যানেল থেকে বেরিয়ে গেলেও এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের পেয়ারের ভবিষ্যত মুভমেন্ট পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির অগ্রগতির ওপর নির্ভর করছে। মার্কেটের ট্রেডাররা সামগ্রিকভাবে আমেরিকা ও দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রতি এখনো ব্যাপকভাবে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী রিবাউন্ডের আশা করাও অত্যন্ত কঠিন। ডলার ধারাবাহিকভাবে দরপতন ঘটছে, এবং যখন শুল্ক সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায় তখন এই দরপতন আরও তীব্র হয়।
৩০ মে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো তুলে ধরা হলো: 1.2863, 1.2981–1.2987, 1.3050, 1.3125, 1.3212, 1.3288, 1.3358, 1.3439, 1.3489, 1.3537, 1.3637–1.3667, 1.3741। সেনকৌ স্প্যান বি (1.3420) এবং কিজুন-সেন (1.3503) লাইনগুলোও সিগন্যাল উৎস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। মূল্য যদি কাঙ্ক্ষিত দিকে ২০ পিপস অগ্রসর হয়, তাহলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনেরবেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল নির্ধারণের সময় এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
পুনরায় উল্লেখ করা যাচ্ছে যে, শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বা কোনো ইভেন্ট নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে — যার কোনোটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা মনে করি, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো আদালতের শুল্কবিরোধী সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রয়েছে। আজও উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে এবং ডলারের আরও দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
You have already liked this post today
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে, যা সম্ভবত শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারণেই ঘটেছে। এমনকি ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য খুব
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যেই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং চলমান ছিল। ইচ্ছা করলে, মার্কিন ডলারের মূল্যের মাত্র ৫০ পিপসের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পেছনে সহজেই যুক্তিসঙ্গত
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার GBP/USD পেয়ারেরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং করা হয়েছে। তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের সামগ্রিক টেকনিক্যাল চিত্র ইউরোর তুলনায় কিছুটা আলাদা। হ্যাঁ, পাউন্ডের মূল্যও ইউরোর
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। আমরা পূর্বেই সতর্ক করেছিলাম যে ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার পুরো দিনজুড়েই তুলনামূলক স্থিতিশীলভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। সেদিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর বা ইভেন্ট ছিল না, ফলে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার অনেকটাই স্থিতিশীলভাবে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। এটি মোটেও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ছিল না, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব দুর্বল
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মতোই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা গেছে, তবে তুলনামূলকভাবে অস্থিরতার মাত্রা কম ছিল। এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করেছে
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে EUR/USD কারেন্সি পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয়, তবে দিনের বাকি সময়টিতে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবার রাতের দিকে EUR/USD পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয়, তবে দিনের বাকি সময়জুড়ে এই পেয়ারের মূল্য তিনগুণ বেশি শক্তিশালীভাবে ঊর্ধ্বমুখী রিবাউন্ড করে। রাতের বেলা এই পেয়ারের মূল্যের এই দিক পরিবর্তনের
Training video
Your IP address shows that you are currently located in the USA. If you are a resident of the United States, you are prohibited from using the services of InstaFintech Group including online trading, online transfers, deposit/withdrawal of funds, etc.
If you think you are seeing this message by mistake and your location is not the US, kindly proceed to the website. Otherwise, you must leave the website in order to comply with government restrictions.
Why does your IP address show your location as the USA?
Please confirm whether you are a US resident or not by clicking the relevant button below. If you choose the wrong option, being a US resident, you will not be able to open an account with InstaTrade anyway.
We are sorry for any inconvenience caused by this message.