আরও দেখুন
মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার কারণে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে আমি যে লেভেলগুলোর কথা উল্লেখ করেছিলাম, সেগুলোর কোনো টেস্ট হয়নি। এই কারণেই আমি কোনো ট্রেড ওপেন করিনি।
গতকাল প্রকাশিত মার্কিন ভোক্তা আস্থা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও মার্কিন ডলারের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। তবে এই সূচকের ফলাফল পূর্বাভাসের উপরে থাকলেও আগের মাসের ফলাফলের তুলনায় এটি মার্কিন মুদ্রার উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারেনি। ভোক্তাদের মনোভাবের উন্নতি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছে, যারা আবারও মার্কিন অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার লক্ষণ দেখেছেন। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে ফরেক্স মার্কেটের পরিস্থিতি জটিল রয়ে গেছে এবং এটি অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।
আজকের জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হলো জার্মানির GfK কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক। যদি এই সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম আসে, তাহলে ইউরোর আরও দ্রুত দরপতন হতে পারে। ট্রেডাররা এই সূচকটির ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ এটি জার্মানির ভোক্তাদের আস্থা এবং ভবিষ্যতে ব্যয় করার প্রবণতা সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা প্রদান করে। ভোক্তা আস্থা হ্রাস পেলে সেটি জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, যা নিঃসন্দেহে ইউরোর মূল্যকে প্রভাবিত করবে। মার্কিন বাণিজ্য শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে, জার্মানির অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে।
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে জার্মানি ইউরোজোনের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। জার্মানি থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল একটি ডমিনো এফেক্ট তৈরি করতে পারে, যা ইইউ-এর অন্যান্য দেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও নিম্নমুখী করবে। GfK সূচকের পাশাপাশি ট্রেডাররা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্যও বিশ্লেষণ করবে। সুদের হার হ্রাসের যেকোনো ইঙ্গিত ইউরোর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1676-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1634-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1676-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1611-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1634 এবং 1.1676-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1611-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1567-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1634-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1611 এবং 1.1567-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।