empty
 
 
31.10.2025 08:24 AM
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৩১ অক্টোবর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও গতকাল এই পেয়ারের মূল্য আরেকবার অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছিল। ইউরোপীয় মুদ্রা আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে; দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান বজায় রেখেছে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বহাল রয়েছে। অতএব, আমরা এখনো শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। গতকাল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে খুব সামান্যই যৌক্তিকতা ছিল। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই সকাল থেকেই ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করতে শুরু করে। এর মানে, ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের অপেক্ষাও করেননি, বরং তাঁরা ফেডের বৈঠকের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিলেন, যেটিকে একেবারে "ব্যাপকভাবে ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান বলা যাবে না। পরবর্তীতে, জার্মানি ও ইউরোজোন থেকে প্রকাশিত জিডিপির প্রতিবেদনের ফলাফল নতুন কোনো সংকটের ইঙ্গিত দেয়নি। জার্মানির বেকারত্বের হারও হতাশাজনক ছিল না। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতিও প্রত্যাশার চেয়ে কম এসেছে। তাই, কোনো প্রতিবেদন থেকেই ইউরোর দরপতনের সঠিক কারণ দেখা যায়নি। একই কথা ইসিবির বৈঠকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, ট্রেডাররা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিল, ঠিক সেরকম সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়ার নিচে এসে স্থির হয়, এবং এরপরই সকল মুভমেন্টের সমাপ্তি ঘটে। তাই, নতুন ট্রেডারদের পক্ষে এই একটি শর্ট পজিশন থেকে লাভ করা কঠিন ছিল, তবে লোকসানও হয়নি, কারণ মূল্য এই এরিয়াটির আশপাশেই ছিল।

শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, আবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন চলমান থাকার ইঙ্গিত পরিলক্ষিত হচ্ছে। নতুন করে এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও আর্থিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। সুতরাং, টেকনিক্যাল দিক থেকে ইউরোপীয় মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের গঠন ও সেখানে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে, তাই আমরা প্রতীক্ষা করছি কখন এই প্রবণতা শেষ হবে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে।

শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন, যেখানে এই মুহূর্তে এই পেয়ারের মূল্য অবস্থান করছে। এই এরিয়া থেকে মূল্য বাউন্স করলে সেটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.1527-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এই এরিয়ার ওপর কনসোলিডেশন হলে সেটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য আপনি এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988।

শুক্রবার ইউরোজোনে মাত্র দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে গতকাল মার্কেটে প্রকাশিত আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডাররা কার্যত উপেক্ষা করেছে। আজ, জার্মানির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের প্রকাশিত হবে। এটি মনে রাখা জরুরি যে, ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব খুবই সামান্য।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.