আরও দেখুন
বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা নিম্নমুখী কারেকশন হয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে এখনও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করেছে, যা উপরের চার্টেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। গতকাল ইউরো উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতনের শিকার হয়েছিল, যদিও এই পেয়ারের মূল্যের উপর সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রেক্ষাপট খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। ট্রেডারদের হয়তো মনে হয়েছে যে একটি নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হচ্ছে—যার কিছুটা সম্ভাবনা ছিল বলা যায়—, কারণ দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য 1.1400–1.1830-এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের সীমায় পৌঁছেছিল। তবে এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই দীর্ঘ ছয় মাস ধরে এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে, তাই অবশেষে মূল্য এই রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে যাবে—এটাই স্বাভাবিক। সে কারণে, আমরা মনে করি এখনই হতাশ হওয়ার বা নতুন করে শক্তিশালী দরপতনের প্রত্যাশা করার সময় আসেনি। এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বিরাজমান থাকতে পারে। আজ যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে চলেছে, যা মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে। যদি মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়, তাহলে জানুয়ারিতে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক আরেকবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়বে। আজ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে—যদিও বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত নয়, তবে সবসময়ই চমকের সম্ভাবনা থেকে যায়। এই পেয়ারের মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইনের উপরে অবস্থান করছে, তাই এখনও দরপতনের জন্য কোনো স্পষ্ট ভিত্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার রাতের দিকে একটি কার্যকর সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.1745–1.1754 এরিয়া থেকে বাউন্স করে এবং নতুন ট্রেডারদের শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। তবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1666-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি এবং দিনশেষে আবার পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরে আসে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে দৃশ্যত কোনো মৌলিক কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্যের পুনরুদ্ধারকে আমরা ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করছি।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও নেতিবাচক রয়ে গেছে, ফলে আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করছি। বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্য 1.1400–1.1830-এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের লাইনে পৌঁছেছে, তাই এখন মূল্য হয় এই চ্যানেল ব্রেক করবে, অথবা উক্ত ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই অবস্থান করবে।
বৃহস্পতিবার নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1745–1.1754 এরিয়া থেকে ট্রেড করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে মূল্য বাউন্স করলে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে, যেখানে মূল্যের 1.1655–1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে, যদি এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়ার উপরে কনসোলিডেট করে, তাহলে মূল্যের 1.1808-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হচ্ছে 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1550, 1.1584-1.1591, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। বৃহস্পতিবার ইউরোপে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে, যেটির ফলাফল ইউরোপীয় মুদ্রার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বর মাসের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট মার্কেটে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।